Dhaka ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলিগের বদলে বিএনপিকে বসানোর জন্য অভ্যুত্থান হয়নি

নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শুধু একটা দলের পরিবর্তে আরেকটা দলকে বসানোর জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। আমরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্যই মাঠে নেমেছি। সেই ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ করে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমাদের এই যাত্রা। আমরা অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই।

>এ সময় নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ নিয়ে তালবাহানা চলছে। বলা হচ্ছে- জুলাই ঘোষণাপত্রের নাকি কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের মর্যাদা, তাদের স্বীকৃতি এই ঘোষণাপত্রে ও সংবিধানে থাকতে হবে। তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার কথাও থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে যাচ্ছে। এই এক বছরে আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক, আশা ছিল অনেক। আমরা ভেবেছিলাম দেশ পরিবর্তন হবে। যে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ রাজপথে নেমেছিল, দিনাজপুরের সন্তানেরা গুলি বুকে নিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে পুরণ হয়নি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে, একটি নতুন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশকে বিনির্মাণ এখনো সম্ভব হয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাঠামোকে এখনো রেখে দেয়ার চেষ্টা চলছে। সেই আগের সিন্ডিকেট, আগের দুর্নীতিবাজ, আগের লুটেরাদের সেইভ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ তথা ছাত্র-তরুণেরা রাজপথে নেমে এসেছিল, নতুন কাঠামোর জন্য, নতুন রাষ্ট্র, নতুন দেশের জন্য। আমাদের দাবির সমর্থনে আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত হবে। সেখানে আমরা ২৪ এর মতো বিশাল গণজমায়েতের মাধ্যমে আমাদের দাবিচর কথা তুলে ধরবো এবং ২৪-এর আন্দোলনের মতোই সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিনাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মনিম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্ত শারমিন প্রমুখ।

এর আগে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই যোদ্ধা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তারা ওইসব পরিবারকে সান্তনা দেন। নেতৃবৃন্দ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আমার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়গুলো এসেছে একটি কারচুপিপূর্ণ ট্রাইব্যুনাল থেকে। আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার ।

আওয়ামীলিগের বদলে বিএনপিকে বসানোর জন্য অভ্যুত্থান হয়নি

Update Time : ০১:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শুধু একটা দলের পরিবর্তে আরেকটা দলকে বসানোর জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। আমরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্যই মাঠে নেমেছি। সেই ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ করে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমাদের এই যাত্রা। আমরা অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই।

>এ সময় নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ নিয়ে তালবাহানা চলছে। বলা হচ্ছে- জুলাই ঘোষণাপত্রের নাকি কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের মর্যাদা, তাদের স্বীকৃতি এই ঘোষণাপত্রে ও সংবিধানে থাকতে হবে। তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার কথাও থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে যাচ্ছে। এই এক বছরে আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক, আশা ছিল অনেক। আমরা ভেবেছিলাম দেশ পরিবর্তন হবে। যে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ রাজপথে নেমেছিল, দিনাজপুরের সন্তানেরা গুলি বুকে নিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে পুরণ হয়নি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে, একটি নতুন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশকে বিনির্মাণ এখনো সম্ভব হয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাঠামোকে এখনো রেখে দেয়ার চেষ্টা চলছে। সেই আগের সিন্ডিকেট, আগের দুর্নীতিবাজ, আগের লুটেরাদের সেইভ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ তথা ছাত্র-তরুণেরা রাজপথে নেমে এসেছিল, নতুন কাঠামোর জন্য, নতুন রাষ্ট্র, নতুন দেশের জন্য। আমাদের দাবির সমর্থনে আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত হবে। সেখানে আমরা ২৪ এর মতো বিশাল গণজমায়েতের মাধ্যমে আমাদের দাবিচর কথা তুলে ধরবো এবং ২৪-এর আন্দোলনের মতোই সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিনাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মনিম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্ত শারমিন প্রমুখ।

এর আগে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই যোদ্ধা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তারা ওইসব পরিবারকে সান্তনা দেন। নেতৃবৃন্দ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখছেন।