৩১ বলে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ৬০ রান। তখনও বাকি মোস্তাফিজের দুই ওভার। মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা টাইগাররাই জিতবে। কারণ, এই যুক্তরাষ্ট্র যে র্যাংকিংয়ের ১৯তম দল! আবার একমাত্র আয়ারল্যান্ড ছাড়া কোনো টেস্টখেলুড়ে দেশের বিপক্ষে কখনই জয়ের স্বাদ পায়নি তারা।
তবে সব সমীকরণ একাই ওলটপালট করে দিয়েছেন হারমিত সিং। আত্মবিশ্বাসী হারমিত উইকেটে এসে প্রথম কয়েকটা বল দেখেশুনেই খেলেন। তবে, যেখানে দেশসেরা পেসার মোস্তাফিজকে দেখেশুনে খেলার কথা, তার ওভারেই টানা দুই ছক্কা মেরে একাই যেন উল্টে দিলেন পাশার দান।
ইনিংসের ওই ওভারে মোস্তাফিজ খরচ করেন ১৭ রান। যার মধ্যে ১৩ রানই আসে হারমিতের ব্যাট থেকে। পরের ওভারে বোলিংয়ে আসা শরীফুলকেও ১ ছক্কা আরেকটি চার মারেন হারমিত। তবুও শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান।
সেটাও কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে বেশ সাবলিলভাবেই সামাল দিয়েছেন ভারতের হয়ে দুটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই অলরাউন্ডার। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহকে এক্সট্রা কাভারের ওপর থেকে ৪ মেরে ৩ বল আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যাচ জেতান তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছে হারমিতের। এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলা হারমিত এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
বিশ্বকাপেও এই খেলোয়াড়ের কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করতে পারে আমেরিকা। কারণ, গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচ করেছেন এই বাঁহাতি। আর তার ব্যাটিং প্রদর্শনী তো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভুলতে পারবে না কোনোদিনও। অর্জন করে নিয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।
আরও একটি দারুণ রেকর্ড রয়েছে হারমিতের। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে তিন ইনিংস ব্যাটিং করেছেন তিনি। তারমধ্যে একবারও আউট হননি ২০১৩ এর আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। এই ৩ ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ৩৪, ১৪ ও ৩৩। তাই বলা চলে, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মাত্র ৫ ম্যাচ খেললেও অভিজ্ঞতায় যেন টইটম্বুর মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া হারমিত সিং।
/এমএইচ