নারী কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুজ্জোহাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
টিসিবি পণ্য বিতরণে দুর্নীতি এবং তাতে বাধা দিলে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ বরখাস্তের আদেশ জারি করে।
রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সহকারি সচিব মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সহকারি সচিব মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ‘এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সানিয়া সা্উদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সংক্রান্ত চিঠি আমরা পেয়েছি।’
এ বিষয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুজ্জোহা বলেন, কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে আমি কাউকে মারধর করিনি ও টিসিবির পণ্য চুরি করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। আর একপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিসি অফিসে এ বিষয়ে শুনানী হবে।
এর আগে গত ৭ মে বরখাস্তের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় ২৬নং ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদ করায় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরক সানিয়া আক্তারকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন সামসুজ্জোহা ও তার লোকজন। এ ঘটনায় সানিয়া বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছিলেন।
অভিযোগে কাউন্সিলর সামসুজ্জোহা (৫০) ছাড়াও তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর (৩৭) ও মো. রিপন ওরফে অটো রিপনকে (৪০) অভিযুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। তদন্তে সামসুজ্জোহার বিরুদ্ধে টিসিবি পণ্য বিতরণে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম এবং নারী কাউন্সিলরকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এএইচ