১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইটি শিল্পে কর অব্যাহতি ২০৪১ পর্যন্ত করার দাবি

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাচন আগামী ৮ মে। এই নির্বাচনে এবার ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন। ‘টিম সাকসেস’ থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী ইমরান হোসেন, যিনি ইওয়াইহোস্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নির্বাচনের আগে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বেসিস নিয়ে তার নানান পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, নিচে তার কিয়দংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: কর অব্যাহতির বর্তমান পরিস্থিতি ও এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?
ইমরান হোসেন: আসন্ন জুনে কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে, অনেক ছোট ও বড় কোম্পানি কর অব্যাহতি পেয়েছে, যা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এই শিল্পে উন্নতি সাধনে সহায়ক হয়েছে। বেসিস সদস্যদের একটি প্রধান দাবি হলো ট্যাক্স অব্যাহতির সময় বাড়ানোর। আমরা চাই, সরকার যেন ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই অব্যাহতি বজায় রাখে।

প্রশ্ন: আইটি শিল্পে কর আরোপের ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
ইমরান হোসেন: আমাদের আইটি শিল্প এখনো বিকাশমান। যদি সরকার এই শিল্পকে আরও সমর্থন না দেয়, তাহলে অনেক স্টার্ট-আপ ও ছোট কোম্পানি ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়বে। একেবারে কর আরোপ না করে, এটি ধাপে ধাপে বাড়ানোর পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। তাহলে স্টার্ট-আপ গ্রোথটা ভালো হবে আমাদের দেশে। আবার বাৎসরিক রেভিনিউ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে তাদেরকে ৫%, ২০ কোটি টাকার বেশি হলে ১০% – এভাবে স্ল্যাবভিত্তিক করলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে না আবার বৃহৎ উদ্যোক্তাদের জন্য এটা বোঝা হয়ে যাবে না।

প্রশ্ন: ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতির বিষয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
ইমরান হোসেন: অবশ্যই, এই বছর বাজেট ঘোষণায় কর অব্যাহতির নীতি গুরুত্ব পাবে, তাই আমাদের কাজের সময় সীমিত। আমাদের লক্ষ্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো, যা ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
কর অব্যাহতি শুধু সফটওয়্যার খাত সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজার কোম্পানির জন্য নয়, সমগ্র দেশের এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য জরুরি। এটি অপসারণ করলে রপ্তানির মাধ্যমে আয়ের সমস্যা হবে। আমাদের পরিকল্পনা হলো সরকারের সাথে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে এই সময়সীমা বাড়ানো। আমরা চাই, ট্যাক্স অব্যাহতি ২০৪১ সাল পর্যন্ত বজায় থাকুক, যাতে আমাদের শিল্পের আরো বিকাশ ঘটতে পারে।

প্রশ্ন: আসন্ন বেসিস নির্বাচনে ভোটারদের প্রতি আপনার কি বার্তা?
ইমরান হোসেন: আমি আশা করি আমাদের শিল্পের স্বার্থে ভোটাররা সচেতনভাবে ভোট দেবেন। আপনাদের সক্রিয় সমর্থন ও অংশগ্রহণই পারে এই খাতের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত করতে। সবাইকে আসন্ন বেসিস নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।

/আআ/

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাংলাদেশে জেলহত্যার পুনরাবৃত্তির আশংকা ! মৃত্যু ঝুঁকিতে ফজলে করিম

আইটি শিল্পে কর অব্যাহতি ২০৪১ পর্যন্ত করার দাবি

Update Time : ১১:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাচন আগামী ৮ মে। এই নির্বাচনে এবার ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন। ‘টিম সাকসেস’ থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী ইমরান হোসেন, যিনি ইওয়াইহোস্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নির্বাচনের আগে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বেসিস নিয়ে তার নানান পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, নিচে তার কিয়দংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: কর অব্যাহতির বর্তমান পরিস্থিতি ও এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?
ইমরান হোসেন: আসন্ন জুনে কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে, অনেক ছোট ও বড় কোম্পানি কর অব্যাহতি পেয়েছে, যা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এই শিল্পে উন্নতি সাধনে সহায়ক হয়েছে। বেসিস সদস্যদের একটি প্রধান দাবি হলো ট্যাক্স অব্যাহতির সময় বাড়ানোর। আমরা চাই, সরকার যেন ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই অব্যাহতি বজায় রাখে।

প্রশ্ন: আইটি শিল্পে কর আরোপের ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
ইমরান হোসেন: আমাদের আইটি শিল্প এখনো বিকাশমান। যদি সরকার এই শিল্পকে আরও সমর্থন না দেয়, তাহলে অনেক স্টার্ট-আপ ও ছোট কোম্পানি ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়বে। একেবারে কর আরোপ না করে, এটি ধাপে ধাপে বাড়ানোর পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। তাহলে স্টার্ট-আপ গ্রোথটা ভালো হবে আমাদের দেশে। আবার বাৎসরিক রেভিনিউ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে তাদেরকে ৫%, ২০ কোটি টাকার বেশি হলে ১০% – এভাবে স্ল্যাবভিত্তিক করলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে না আবার বৃহৎ উদ্যোক্তাদের জন্য এটা বোঝা হয়ে যাবে না।

প্রশ্ন: ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতির বিষয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
ইমরান হোসেন: অবশ্যই, এই বছর বাজেট ঘোষণায় কর অব্যাহতির নীতি গুরুত্ব পাবে, তাই আমাদের কাজের সময় সীমিত। আমাদের লক্ষ্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো, যা ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
কর অব্যাহতি শুধু সফটওয়্যার খাত সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজার কোম্পানির জন্য নয়, সমগ্র দেশের এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য জরুরি। এটি অপসারণ করলে রপ্তানির মাধ্যমে আয়ের সমস্যা হবে। আমাদের পরিকল্পনা হলো সরকারের সাথে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে এই সময়সীমা বাড়ানো। আমরা চাই, ট্যাক্স অব্যাহতি ২০৪১ সাল পর্যন্ত বজায় থাকুক, যাতে আমাদের শিল্পের আরো বিকাশ ঘটতে পারে।

প্রশ্ন: আসন্ন বেসিস নির্বাচনে ভোটারদের প্রতি আপনার কি বার্তা?
ইমরান হোসেন: আমি আশা করি আমাদের শিল্পের স্বার্থে ভোটাররা সচেতনভাবে ভোট দেবেন। আপনাদের সক্রিয় সমর্থন ও অংশগ্রহণই পারে এই খাতের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত করতে। সবাইকে আসন্ন বেসিস নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।

/আআ/