অবসরের ৩ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না—এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের ৩ বছর পার না হলে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হলো, সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণ নাগরিক নন এবং অবসর গ্রহণের পরপরই কার্যালয়গুলোতে তাদের প্রভাব থাকতে পারে।’
হাইকোর্টের এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ লেখা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(১) (এফ) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা অবসর নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান এবং রতন চন্দ্র পণ্ডিতের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময় পৃথক রুল জারি করেছিলেন।
রুলে এই ধারাকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে বলা হয়, ভোটে অংশ নেওয়ার অধিকার সংবিধানের একটি মৌলিক বিষয়। সরকারি কর্মচারীদের অবসর বা পদত্যাগের পর সংসদ নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াতে নিষেধ করা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের মূলনীতি ও সমঅধিকার উভয়ই লঙ্ঘন করে।
গত ২৯ নভেম্বর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ রিট পিটিশন ও রুলের শুনানি শেষ করেন এবং ‘যেকোনো সময় রায় দেওয়া হতে পারে’ বলে উল্লেখ করেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমির, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডিএজি অমিত দাস গুপ্ত শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।